পিএলসি কত প্রকার?
পিএলসিকে তিনটি স্তরে ভিবিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় । এই তিনটি স্তররেকে বৈশিষ্ট উপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়েছে । ভাগগুলো যথাক্রমে ।
১. ম্যনুফেচারার কম্পানির উপরে ।
২. কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ।
৩. অউটপুট ধরনের উপর ভিত্তি করে ।
ম্যনুফেচারার কম্পানির উপর ভিত্তি করেঃ
ভিবিন্ন ম্যনুফেকচার কম্পানি পিএলসি ম্যানুফেকচার করে থাকে । যেমনঃ সিমেন্স, মিটসোবেশী, অমরন , ডেলটা ইত্যাদি । এক কম্পানির পিএলসি অন্য কম্পানির পিএলসি হতে আলাদা । তাই আমরা প্রত্যেকটিকে এক একটি ভাগে ভাগ করতে পারি ।
কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করেঃ
আমাদেরকে ছোট, মাঝারি এবং বড় কজের জন্য আমাদের পিএলসি ব্যবহার করতে হয় । ছোট কাজের জন্য স্বল্প সংখ্যক ইনপুট , মাঝারি কাজের জন্যে আরো একটু বেশী সংখ্যক ইনপুট অউটপুট এবং বড় কাজের জন্যে আনেক ইনপুট এবং অউটপুট দরকার হয় । তাই ম্যানুফেকচার কম্পনিগুলো তাদের পিএলসি গুলোকে কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করাছে । ভাগগুলো হলঃ
১. মিনি পিএসসি
২. মাইক্রো পিএলসি
৩. মডিউওলার পিএসসি
মিনি পিএলসিঃ (Mini PLC):
এই পিএসসিতে সল্প সংখ্যক ইনপুট এবং অউটপুট থাকে এবং এটি ছোট কোন কাজের জন্যে এটি ব্যবহার করা হয় । এই পিএলসিতে বিশেষ কোন টেকনোলোজি থাকে না । এই পিলসির ইনপুট এবং অউটপুট সংখ্যা ২০টির কম হয়ে থাকে । যেমনেঃ সিমেন্স এর লগো পিএলসি, মিটসোবিসির আলফা পিএলসি ।
Siemens Logo PLC
Mitsubishi Alpha PLC
মাইক্রো পিএলসিঃ (Micro PLC)
এই পিএলসি সবচেয়ে বেশি পরিমানে ব্যবহৃত হয় । এটিতে অনেক ইনপুট এবং অউটপুট থাকে এবং অটোমেশনের প্রায় সকল কাজই এই পিএলসি দিয়ে করা যায় । এই পিলসির ইনপুট এবং অউটপুট সংখ্যা ৩০০টির কম হয়ে থাকে । যেমনঃ সিমেন্স কম্পানির মাইক্রো পিএলসি (S7 200) , মিটসোবিসি কম্পানের FX সিরিজ ।

Mitsubishi FX Series
মডিওলার পিএলসিঃ (Modular PLC)
এই পিএলসির প্রচুর পরিমানের ইনপুট এবং অউটপুট ব্যবহার করা যায় । এই পিএলসিতে মর্ডান সব টেকনোলজি বৃদ্ধমান থাকে । এই পিএলসি বড় রড় প্রোসেসে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । যেমনঃ পেপার মেইল, সার কারখানা, ফুড প্রোডাকশন লাইন ইত্যাদি ।
Mitsubishi Q Series
Siemens S7 300 PLC
অউটপুটের উপর ভিত্তি করেঃ
পিএলসির প্রধান কাজ হল আমাদের আউটপুট প্রদান করা । এই অউটপুট সিগ্নালটি পিএলসি আমাদের ভিবিন্ন সুইচিং ডিভাইসের মাধ্যমে আমাদের প্রদান করে । সুইচিং ডিভাইস গুলো যথাক্রমে রিলে, ট্রানজিস্টর এবং ট্রায়াক । এই সুইচিং ডিভাইসের উপর ভিত্তি করে পিএলসিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
রিলে অউটপুট পিএলসিঃ
যেসব পিএলসি রিলে সুইচিং এর মাধ্যমে আমাদেরকে অউটপুট প্রদান করে থাকে তাদেরকে রিলে অউটপুট পিএলসি বলা হয় । যেহেতু একটি রিলের কমন পিনে আমরা যা প্রদান করি, রিলেটি যদি এক্টিভেট হয় তাহলে রিলেটি সেই পাওয়ারকে রিলের এনও পিন দিয়ে আমাদেরকে প্রদান করে, তাই আমরা রিলের মাধ্যমে আমরা এসি এবং ডিসি পাওয়ারকে সুইচিং করতে পারি । সেজন্যে রিলে অউটপুট পিএলসির অউতপুট এসি এবং ডিসি হতে পারে ।
অউটপুটে রিলে হওয়ার কারনে এই পিএলসির সুচিং টাইম খুবই কম হয় যেমন মাত্র .১ সেকেন্ড । এর অর্থ ১ সেকেন্ড মাত্র ১০ বার একটি লোডকে অন এবং অফ করা যাবে ।
Output Relay Type PLC
ট্রানজিস্টর অউটপুট পিএলসিঃ
এই পিএলসি ট্রাইজিস্টরের মাধ্যমে আমাদেরকে অউটপুট প্রদান করবে । ট্রানজিস্টরের মাধ্যমে অউটপুট প্রদান করে তাই এই পিএলসির অউটপুট ডিসি হয়ে থাকে । ট্রানজিস্টরের সুইচিং টাইম ১ মিলিসেকেন্ড হওয়ায় এর মাধ্যমে আমরা একটি লোডকে ১ সেকেন্ডে ১০০০ বার অন এবং অফ করা যায় ।
আমারা জানি ট্রানজিস্টর দুই ধরনের হয়ে থাকে, PNP এবং NPN । পিএলসির অউটপুটেও ঠিক একইভাবে এই দুইটির যেমন একটি ব্যবহৃত হয় । যদি পিএলসির অউটপুটে PNP ট্রানজিস্টর থাকে তাহলে পিএলসির অউটপুট হাই হলে সেটি আমাদের 24 ভোল্ট ডিসির একটি সিগ্নলা প্রদান করবে অন্যদিকে যদি পিএলসির অউটপুটে NPN ট্রানজিস্টর থাকে তাহলে পিএলসির অউটপুট হাই হলে সেটি আমাদের 0 ভোল্ট ডিসির একটি সিগ্নলা প্রদান করবে ।
Output Transistor type PLC
ট্রায়াক টাইপ পিএলসিঃ
আমারা জানি এসি পাওয়ার সুইচিং এর জন্যে ট্রায়াক ব্যবহার করা হয়ে থাকে, ঠিক একইভাবে ট্রায়াক টাইপ পিএলসি আমাদের এসি পাওয়ার সুইচিং এর মাধ্যমে আমাদেরকে এসি পাওয়ার অউটপুট প্রদান করবে । এই টাইপ পিএলসির অউটপুটে ট্রায়াক ব্যবহার করা হয় । এর সুইচিং টাইম ১০মিলিসেকেন্ড হয়ে থাকে । এই ধরনের পিএলসি এখন আর ব্যবহৃত হয় না ।